নবম-দশম শ্রেণি (এস এস সি)
বিষয় : রসায়ন বিজ্ঞান
অধ্যায় -১: রসায়নের ধারণা
বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর:
০১। প্রক্রিয়াজাত খাদ্য বেশি সময় ধরে সংরক্ষণে নিচের কোন পদার্থটিব্যবহৃত হয়?
(ক) প্রিজারভেটিভস্ (খ) ভিনেগার
(গ) ইথিলিন (ঘ) অ্যাসিটিলিন
০২। নিচের কোনটি অজৈব যৌগ?
(ক) পানি (খ) শ্বেতসার (গ) আমিষ (ঘ) চর্বি
০৩। কোনটিকে জীবনের জন্য বিজ্ঞান বলা হয়?
(ক) পদার্থবিজ্ঞান (খ) রসায়ন বিজ্ঞান
(গ) উদ্ভিদ বিজ্ঞান (ঘ) প্রাণি বিজ্ঞান
০৪। প্রাচীণ ও মধ্যযুগীয় রসায়ন চর্চা কী নামে পরিচিত?
(ক) Pharmacy (খ) Chemistry
(গ) Alchemy (ঘ) Pharmacology
০৫। খ্রি. পূর্ব কত বছর পূর্বে মিশরীয়রা স্বর্ণ আহরণ করতো?
(ক) ৫০০০ (খ) ৬০০০ (গ) ২৬০০ (ঘ) ১৮০০
০৬। “আল-কেমি” শব্দটি দিয়ে নিচের কোনটি বোঝায়?
(ক) পারস্য সভ্যতা (খ) সিন্ধু সভ্যতা
(গ) মিশরীয় সভ্যতা (ঘ) আর্য সভ্যতা
০৭। “আল-কেমি” শব্দটি উদ্ভূত হয়েছে নিচের কোনটি থেকে?
(ক) আল-কেমেষ্ট্রি (খ) আল-কিমিয়া
(গ) আল-কেমান (ঘ) আল-কেমা
০৮। প্রাচীণ রসায়ন বিদ্যার সূচণা হয় কোন দেশে?
(ক) ভারতবর্ষ (খ) মিশর (গ) ইংল্যান্ড (ঘ) চীন
০৯। প্রাচীণ মিশরীয় সভ্যতা মানুষের চাহিদা বহুলাংশে মেটাতে সক্ষম
হয়েছিলো কী চর্চার মাধ্যমে?
(ক) পদার্থ বিজ্ঞান (খ) রসায়ন বিজ্ঞান
(গ) জীব বিজ্ঞান (ঘ) গণিত শাস্ত্র
১০। কাপড়কে আকর্ষণীয় করে তুলতে প্রায় ৫০০০ বছর পূর্বে রঙের
ব্যবহার শুরু হয়েছিলো কোথায়?
(ক) ইংল্যান্ডে (খ) ভারত বর্ষ
(গ) আমেরিকায় (ঘ) ফ্রান্সে
১১। কার্বন যৌগের দহনে নিচের কোনটি উৎপন্ন হয়?
(ক) কার্বন ডাই অক্সাইড (খ) কার্বন মনোক্সাইড
(গ) জলীয়বাষ্প (ঘ) তাপ
১২। নিচের কোন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমের বর্ণ হলুদে রূপান্তরিত হয়?
(ক) রাসায়নিক প্রক্রিয়া (খ) জৈবিক প্রক্রিয়া
(গ) জীব-রাসায়নিক প্রক্রিয়া (ঘ) প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া
১৩। মরিচা কোনটি?
(ক) অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড (খ) জিংক অক্সাইড
(গ) আয়রন অক্সাইড (ঘ) নাইট্রোজেন অক্সাইড
১৪। মরিচা কোনটি?
(ক) অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড (খ) জিংক অক্সাইড
(গ) আয়রন অক্সাইড (ঘ) নাইট্রোজেন অক্সাইড
১৫। মরিচা কী?
(ক) লোহা, অক্সিজেন ও জলীয়বাষ্প দ্বারা সৃষ্ট যৌগ
(খ) লোহা, অক্সিজেন ও পানির সমসত্ত্ব মিশ্রণ
(গ) লোহা, নাইট্রোজেন ও অক্সিজেনের সমন্বিত যৌগ
(ঘ) লোহা ও পানির সমন্বিত যৌগ
১৬। কাঠের প্রধান রাসায়নিক উপাদান কোনটি?
(ক) সেলুলোজ (খ) স্ট্রার্চ (গ) হাইড্রোকার্বন (ঘ) হাইড্রোজেন
১৭। প্রাকৃতিক গ্যাস প্রধানত কী?
(ক) ইথেন (খ) মিথেন (গ) ইথিন (ঘ) ইথাইন
১৮। মোম কোন কোন মৌলের সমন্বয়ে গঠিত যৌগ?
(ক) নাইট্রোজেন ও হাইড্রোজেন (খ) সালফার ও অক্সিজেন
(গ) কার্বন ও হাইড্রোজেন (ঘ) অক্সিজেন ও কার্বন
১৯। নিচের কোনটি রাসায়নিক বিক্রিয়া নয়?
(ক) কাঠে আগুন জ্বালানো (খ) প্রাকৃতিক গ্যাসের দহন
(গ) কেরোসিন পোড়ানো (ঘ) বরফের গলন
২০। নিঃশ্বাসে গৃহীত বায়ুর কোন উপাদানটি আমাদের শরীরবৃত্তীয়
কাজে ব্যবহৃত হয়?
(ক) অক্সিজেন (খ) নাইট্রোজেন
(গ) কার্বন-ডাই-অক্সাইড (ঘ) আর্গন
২১। খাদ্যের প্রয়োজনীয় উপকরণ আমিষ কোন ধরনের যৌগ?
(ক) অজৈব যৌগ (খ) জৈব যৌগ
(গ) খনিজ পদার্থ (ঘ) কার্বন ও অক্সিজেন সম্বলিত যৌগ
২২। রাসায়নিক সারের প্রধান উপাদানগুলো কী কী?
(ক) অক্সিজেন, নাইট্রোজেন ও কার্বন
(খ) অক্সিজেন, হাইড্রোজেন ও কার্বন
(গ) অক্সিজেন, ফসফরাস, নাইট্রোজেন ও কার্বন
(ঘ) অক্সিজেন, সালফার, নাইট্রোজেন ও কার্বন
২৩। জৈব যৌগ ও তন্ত্রের সমন্বয়ে নিচের কোনটি তৈরি করা যায়?
(ক) সার (খ) শার্ট (গ) ব্রাশ (ঘ) কৃত্রিম রঙ
২৪। কোন প্রকৃয়ায় উদ্ভিদ সকল প্রাণির জন্য খাদ্য উৎপাদন করে?
(ক) জারণ (খ) সালোকসংশ্লেষণ
(গ) বিশ্লেষণ (ঘ) ক্লোরোফিল সংরক্ষণ
২৫। প্রতক্ষ বা পরোক্ষভাবে সমগ্র প্রাণীকূলের খাদ্যের যোগানদাতা হল-
(ক) উদ্ভিদ (খ) সূর্য (গ) বাস্তুতন্ত্র (ঘ) প্রাণীকূল
২৬। সালোকসংশ্লেষণ মূলত কী ধরণের প্রক্রিয়া?
(ক) জৈব-রাসায়নিক প্রক্রিয়া (খ) জৈবিক প্রক্রিয়া
(গ) কৃত্রিম প্রক্রিয়া (ঘ) অজৈব রাসায়নিক
২৭। বিদ্যুৎ, চুম্বক এবং বিভিন্ন ইলেকট্রনিক এর তত্ত্ব কোন বিজ্ঞানের
আওতাভুক্ত?
(ক) উদ্ভিদবিজ্ঞান (খ) জীববিজ্ঞান
(গ) রসায়নবিজ্ঞান (ঘ) পদার্থবিজ্ঞান
২৮। তেল, গ্যাস, কয়লা পুড়িয়ে উৎপাদিত তাপ থেকে নিচের কোনটি
উৎপন্ন করা যায়?
(ক) প্রাকৃতিক গ্যাস (খ) বিদ্যুৎ (গ) চুম্বক (ঘ) যান্ত্রিক শক্তি
২৯। ইলেকট্রনিক্স এর বিভিন্ন ক্ষুদ্রাংশ পদার্থের কোন ধর্মকে কাজে
লাগিয়ে তৈরি করা হয়?
(ক) রাসায়নিক (খ) জৈবিক
(গ) জৈব-রাসায়নিক (ঘ) প্রাণ রাসায়নিক
৩০। বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স তৈরির ফলে কোন পদার্থটি নিঃশেষ হবার
সম্ভাবনা রয়েছে?
(ক) লোহা (খ) দস্তা (গ) তামা (ঘ) সীসা
৩১। উদ্ভিদ ও প্রাণীর মৃত্যুর পর এদের দেহ কোন প্রক্রিয়ার কারণে
মাটির সাথে মিশে যায়?
(ক) মাটির বিভিন্ন উপাদানের প্রভাব (খ) অক্সিজেনের উপস্থিতিতে
(গ) রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় (ঘ) অনুজীব প্রক্রিয়ায় ৩২। ভূগর্ভের তাপ ও চাপের প্রভাবে উদ্ভিদজাত পদার্থের রাসায়নিক পরিবর্তনে কোনটি উৎপন্ন হয় না?
(ক) পেট্রোলিয়াম (খ) প্রাকৃতিক গ্যাস
(গ) কয়লা (ঘ) অপরিশোধিত তেল
৩৩। রসায়নে হিসাব-নিকাশ ও সূত্র প্রদান কিসের উপর নির্ভরশীল?
(ক) পদার্থবিজ্ঞান (খ) জীববিজ্ঞান
(গ) গণিত (ঘ) কম্পিউটার বিজ্ঞান
৩৪। কৃষিকাজে কীটনাশক ব্যবহার করা হয় কী উদ্দেশ্যে?
(ক) জমির উর্বরতা বৃদ্ধি (খ) ফসলের পুষ্টির জন্য
(গ) পোকামাকড় প্রতিরোধ করা (ঘ) আগাছা নির্মূলের জন্য
৩৪। কিসের সাহায্যে পরমানু গঠন ব্যাখ্যা করা যায়?
(ক) ভর বর্ণালীবিক্ষণ পদ্ধতি (খ) তরঙ্গ বলবিদ্যা
(গ) কোয়ান্টাম মেকানিকস্ (ঘ) হাইড্রোজেন বর্ণালী
৩৫। নদী-নালা, পুকুর ও খাল-বিলের পানি দূষিত হয় কীভাবে?
(ক) অতিরিক্ত সার ও কীটনাশক দ্বারা
(খ) জীবাশ্ম জ্বালানীর পোড়ানোর ফলে
(গ) মশার কয়েল ও অ্যারোসলের ধোঁয়ায়
(ঘ) ফলমূলে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ
৩৬। অতি অল্প পরিমাণ বায়ুর উপস্থিতিতে কাঠ বা প্রাকৃতিক গ্যাস
পোড়ালে কোনটি উৎপন্ন হয়?
(ক) কার্বন ডাই অক্সাইড (খ) কার্বন মনোক্সাইড
(গ) ক্লোরো ফ্লোরো কার্বন (ঘ) নাইট্রাস অক্সাইড
৩৭। নিচের কোন গ্যাসটি বায়ুর সাথে মিশে পরিবেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি
করে?
(ক) কার্বন ডাই অক্সাইড (খ) কার্বন মনোক্সাইড
(গ) ক্লোরো ফ্লোরো কার্বন (ঘ) নাইট্রাস অক্সাইড
৩৮। কাঠ ও কয়লা পোড়ালে নিচের কোনটি পাওয়া যায়?
(ক) বালি কণা (খ) কার্বন কণা (গ) মাটি কণা (ঘ) জৈব কণা
৩৯। কলকারখানা ও যান্ত্রিক যানবাহন থেকে নিচের কোনটি উৎপন্ন হয়?
(ক) কার্বন ডাই অক্সাইড (খ) কার্বন মনোক্সাইড
(গ) হাইড্রোজেন সালফাইড (ঘ) নাইট্রাস অক্সাইড
৪০। নিচের কোনটি অনুসন্ধান ও গবেষণা প্রক্রিয়ার ধাপ নয়?
(ক) বিষয় বস্তু নির্ধারণ
(খ) কাজের পরিকল্পনা প্রণয়ন
(গ) ফলাফল সম্পর্কে আগাম ধারণাকরণ
(ঘ) বিষয়বস্তুর অপকারি ও ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জ্ঞান
৪১। অনুসন্ধান ও গবেষণা প্রক্রিয়ার সর্বশেষ ধাপ হলো-
(ক) বিষয় বস্তু নির্ধারণ (খ) পরিক্ষণ ও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ
(গ) তথ্য-উপাত্ত এর সংগঠন ও বিশ্লেষণ
(ঘ) বিজ্ঞান ও মানব কল্যানে প্রভাব
৪২। অনুসন্ধান ও গবেষণা প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হলো-
(ক) বিষয় বস্তু নির্ধারণ (খ) কাজের পরিকল্পনা প্রণয়ন
(গ) বিষয় বস্তু সম্পর্কে সম্যক জ্ঞানার্জন
(ঘ) বিষয় বস্তু সম্পর্কে আগাম ধারণা করণ
৪৩। অনুসন্ধান ও গবেষণা প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় ধাপ কোনটি?
(ক) পরীক্ষণ কার্যক্রমের প্রস্তুতি (খ) কাজের পরিকল্পনা গ্রহণ
(গ) বিষয় বস্তু সম্পর্কে সম্যক জ্ঞানার্জন
(ঘ) ফলাফল সম্পর্কে আগাম ধারণা করণ
৪৪। অনুসন্ধান ও গবেষণা বিষয় বস্তু নির্ধারণ করা হয় কী উদ্দেশ্যে?
(ক) মানব কল্যাণের কথা চিন্তা করে (খ) অর্থ উপার্জন
(গ) শিক্ষাগত ডিগ্রি অর্জন (ঘ) গবেষকের পদোন্নতির জন্য
৪৫। গবেষণায় প্রত্যাশিত ফলাফল সম্পর্কে আগাম ধারণা লাভের
প্রয়োজনীয়তা কী?
(ক) কাজের পরিকল্পনা প্রণয়ন (খ) গবেষণার অনুক্রম নির্ধারণ
(গ) পরীক্ষণের জন্য রাসায়নিক পদার্থ সংগ্রহকরণ
(ঘ) পরীক্ষণ কাজে অগ্রগতি নিবারণ
৪৬। জাতিসংঘের উদ্যোগে পরিবেশ ও উন্নয়ন নামে একটি সম্মেলন
অনুষ্ঠিত হয় কত সালে?
(ক) ১৯৯১ (খ) ১৯৯৩ (গ) ১৯৯২ (ঘ) ১৯৯৪
৪৭। বিপদজনক সাংকেতিক চিহ্ন বিশিষ্ট কোন পাত্রের গায়ের লেবেল
দেখে কী বুঝা যাবে?
(ক) এটি একটি মারাতœক বিষাক্ত পদার্থ
(খ) এটি দাহ্য পদার্থ
(গ) এটি জীবের জন্য সংবেদনশীল
(ঘ) এটি পরিবেশ দূষণ ঘটায়
৪৮। তেজস্ক্রিয় রশ্মি চিহ্নটিকে কী বলা হয়?
(ক) ট্রেটফয়েল (খ) ট্রিফয়েল (গ) ট্রাইফয়েল (ঘ) ডাইফয়েল
৪৯। মাটিতে উদ্ভিদের পুষ্টি প্রদান করে?
(ক) রাসায়নিক সার (খ) মাটির খনিজ পদার্থ
(গ) কার্বন ডাই অক্সাইড (ঘ) পানি
৫০। প্রাকৃতিক গ্যাসে থাকে?
(ক) কার্বন ডাই অক্সাইড (খ) মিথেন
(গ) নাইট্রোজেন (ঘ) নিষ্ক্রিয় গ্যাস বহুপদী সমাপ্তিসূচক প্রশ্নোত্তর:
৫১। লোহার মরিচা ধরা-
র. একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া
রর. ভৌত পরিবর্তন
ররর. জলীয় বাষ্প ও অক্সিজেনের উপস্থিতিতে সংঘটিত হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) (র) ও (রর) (খ) (র) ও (ররর)
(গ) (রর) ও (ররর) (ঘ) (র), (রর) ও (ররর)
৫২। ব্রাশ, চিরুনি, কাগজ, কলম, প্রভৃতির রাসায়নিক পরিধি হলো-
র. এসব পন্য প্রকৃতি থেকে সংগ্রহ করা হয়
রর. এগুলো বিভিন্ন রাসায়নিক যৌগের সমন্বয়ে গঠিত
ররর. এসব বিভিন্ন রাসায়নিক পরিবর্তনের মাধ্যমে তৈরি করা হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) (র) ও (রর) (খ) (র) ও (ররর)
(গ) (রর) ও (ররর) (ঘ) (র), (রর) ও (ররর)
৫৩। খাবার খেলে আমাদের শরীরে-
র. বিপাক প্রক্রিয়া ঘটে
রর. আমরা শক্তি পাই
ররর. শ্বেতসার, আমিষ ও চর্বি সকল উপাদান পাই
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) (র) ও (রর) (খ) (র) ও (ররর)
(গ) (রর) ও (ররর) (ঘ) (র), (রর) ও (ররর)
৫৪। মোটর সাইকেল চলার শক্তি অর্জন করে-
র. পেট্রোলিয়াম দহনের মাধ্যমে
রর. বিভিন্ন ধাতুর ক্রিয়ার মাধ্যমে
ররর. জ্বালানির দহনের মাধ্যমে
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) (র) (খ) (র) ও (ররর)
(গ) (রর) ও (ররর) (ঘ) (র), (রর) ও (ররর)
৫৫। প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয়-
র. প্রক্রিয়াজাত খাবার সংরক্ষণের জন্য
রর. নিষিদ্ধ খাদ্যকে খাবারের উপযোগী করার জন্য
ররর. খাবারকে আকর্ষণীয় ও দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) (র) (খ) (র) ও (ররর)
(গ) (রর) ও (ররর) (ঘ) (র), (রর) ও (ররর)
৫৬। দাহ্য পদার্থের বৈশিষ্ট হলো-
র. এগুলোতে যেকোন সময় আগুন ধরতে পারে
রর. এদের বিক্রিয়ায় তাপ উৎপন্ন হয়
ররর. এগুলো বিষাক্ত পদার্থ
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) (র) ও (রর) (খ) (র) ও (ররর)
(গ) (রর) ও (ররর) (ঘ) (র), (রর) ও (ররর)
জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর:
১। মরিচা কী?
মরিচা: বিশুদ্ধ লোহা জলীয়বাষ্পের উপস্থিতিতে বায়ুর অক্সিজেনের সাথে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে লোহার অক্সাইড নামক পদার্থে পরিণত হয়, যা মরিচা নামে পরিচিত।
মরিচার রাসায়নিক সংকেত: ঋব২ঙ৩.হঐ২ঙ
২। ট্রিফয়েল কী?
ট্রিফয়েল: তেজষ্ক্রিয় রশ্মি চিহ্নটিকে ট্রিফয়েল বলা হয়। এটি দ্বারা অতিরিক্ত ক্ষতিকর আলোকরশ্মি বোঝানো হয়।
৩। প্রিজারভেটিভ কী?
প্রিজারভেটিভ: প্রক্রিয়াজাত খাদ্য বেশি সময় ধরে সংরক্ষণের জন্য যে পদার্থ ব্যবহার করা হয় তাই প্রিজারভেটিভ নামে পরিচিত। প্রিজারভেটিভ ছাড়া সংগৃহিত খাদ্য স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
৪। প্রিজারভেটিভস্ কী?
প্রিজারভেটিভস্: প্রক্রিয়াজাত খাদ্য বিশেষ করে জুস, সস, কেক, বিস্কুট, আচার প্রভৃতিকে বেশি সময় ধরে সংরক্ষণের জন্য কিছু বিশেষ রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়, সেগুলোকে প্রিজারভেটিভস্ বলে।
উল্লেখযোগ্য কয়েকটি অনুমোদিত ফুড প্রিজারভেটিভস্ হলো-
সোডিয়াম বেনজোয়েট, পটাসিয়াম সরবেট, সোডিয়াম সরবেট প্রভৃতি।
৫। জীববিজ্ঞানের পঠিত বিষয় কী?
জীববিজ্ঞানের পঠিত বিষয়: জীবের জন্ম, বৃদ্ধি, রোগ এবং বিভিন্ন প্রাণ-রাসায়নিক প্রক্রিয়া অধ্যয়নই জীববিজ্ঞানের পঠিত বিষয়।
৬। ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী কী ধরনের বস্তু দ্বারা গঠিত?
উত্তর: ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী রাসায়নিক বস্তু দ্বারা গঠিত।
৭। পেট্রোলিয়ামের দহন কী ধরনের পরিবর্তন?
উত্তর: পেট্রোলিয়ামের দহন রাসায়নিক পরিবর্তন।
৮। প্রাচীনকালে রসায়ন চর্চাকারীদের কী বলা হতো?
উত্তর: প্রাচীনকালে রসায়ন চর্চাকারীদের আলকেমি বলা হতো।
৯। Alchemy কী?
উত্তর: প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় রসায়ন চর্চা আলকেমি (অষপযবসু) নামে পরিচিত। আল-কেমি শব্দটি আরবী ‘আল কিমিয়া থেকে উদ্ভুত, যা দিয়ে মিশরীয় সভ্যতাকে বুঝানো হতো।
১০। জৈব যৌগ কাকে বলে?
জৈব যৌগ: কার্বন ও হাইড্রোজেন দ্বারা গঠিত যৌগকে বলা হয় হাইড্রোকার্বন। আর হাইড্রোকার্বন ও এদের থেকে উদ্ভুত যৌগসমূহকে বলা হয় জৈব যৌগ।
যেমন: মিথেন (ঈঐ৪), বেনজিন (ঈ৬ঐ৬), সাইক্লোহেক্সেন (ঈ৬ঐ১২)
১১। কাঠ কিসের যৌগ?
উত্তর: কাঠ সেলুলোজের যৌগ।
১২। আকরিক কী?
আকরিক: যেসব খনিজ থেকে স্বল্প সময়ে লাভজনক উপায়ে ধাতু নিষ্কাশন করা যায়, তাদেরকে আকরিক বলা হয়।
যেমন: বক্সাইট, ক্রায়োলাইট, ক্যালামাইন ইত্যাদি।
১৩। অনুজীব কী?
উত্তর: অনুজীব: যে সকল জীব অনুবীক্ষণ যন্ত্র ছাড়া দেখা যায়না, তাদেরকে অনুজীব বলা হয়।
যেমন: ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস।
১৪। প্লাস্টিক কী?
প্লাস্টিক: বিভিন্ন রাসায়নিক যৌগ থেকে কৃত্রিম উপায়ে প্রস্তুতকৃত পলিমারকে প্লাস্টিক বলা হয়।
প্লাস্টিক শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ Plastkos থেকে, যার অর্থ ‘গলানো সম্ভব’।
১৫। তন্তু কী?
তন্তু: তন্তু এক ধরনের জৈব যৌগ যা রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন যৌগ থেকে তৈরী করা হয়।
এটি টেক্সটাইল ফেব্রিক্স শিল্পে পোশাক তৈরীতে ব্যবহৃত হয়।
১৬। ফটোসিনথেসিস কী?
ফটোসিনথেসিস: উদ্ভিদ যে প্রক্রিয়ায় কার্বন ডাই অক্সাইড ও হাইড্রোজেন থেকে গ্লুকোজ ও অক্সিজোন উৎপন্ন করে তাকে ফটোসিনথেসিস বলে।
ফটোসিনথেসিস কে সালোক সংশ্লেষণ প্রক্রিয়া বলা হয়।
১৭। দহন বিক্রিয়া কাকে বলে?
দহন: দহন এক ধরনের রাসায়নিক বিক্রিয়া। কোন মৌলকে বা যৌগকে অক্সিজেনের উপস্থিতিতে পুড়িয়ে তার উপাদান মৌলের অক্সাইডে পরিণত করার প্রক্রিয়াকে দহন বলে।
কার্বন যৌগের দহনে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস, জলীয় বাষ্প ও তাপ উৎপন্ন হয়।
১৮। সার কী?
সার: অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, কার্বন, ফসফরাস, এবং বিভিন্ন রাসায়নিক যৌগের সমন্বয়ে শিল্প কারখানায় রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে গঠিত যৌগ যা মাটিতে উদ্ভিদের পুষ্টি প্রদান করে।
যেমন: টি.এস.পি, ক্যালসিয়াম, অ্যামোনিয়াম নাইট্রিট ইত্যাদি।
১৯। কার্বন কণা কিভাবে উৎপন্ন হয়?
উত্তর: কাঠ ও কয়লা পোড়ালে কার্বন কণা উৎপন্ন হয়।
ঈধৎনড়হ চধৎঃরপষব পাত্রের গায়ে জমলে আমরা ‘কালি’ বলে থাকি।
অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর:
০১। পেঁপে পাকলে হলুদ হয় কেন?
উত্তর: প্রথম অবস্থায় পেঁপেতে প্রচুর ক্লোরোফিল থাকে, এছাড়াও থাকে ক্যারোটিন ও জ্যান্থোফিল। ফল পাকতে শুরু করলে নতুন করে ক্লোরোফিল তৈরী বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে রঙিন ক্যারোটিন ও জ্যান্থোফিল এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে। এভাবে পেঁপে জীব রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হলুদ বর্ণ ধারণ করে।
সাধারণত পেঁপের ফলাত্বকে প্রথমে সবুজ থাকে। কারণ এতে প্রচুর ক্লোরোফিল থাকে।
০২। ‘আল-কেমি’ বলতে কী বুঝ?
উত্তর: আল-কেমি: প্রাচীণ ও মধ্যযুগের রসায়ন চর্চা ‘আল-কেমি’ নামে পরিচিত। প্রাচীণ মিশরীয় সভ্যতা রসায়ন চর্চার মাধ্যমে মানুষের চাহিদা বহুলাংশে মেটাতে সক্ষম হয়েছিল।
অষপযবসু শব্দটি আরবি “আল-কিমিয়া” থেকে উদ্ভুত, যা দিয়ে মিশরীয় সভ্যতাকে বুঝানো হত।
০৩। বডি ¯েপ্র এর গায়ে আগুনের শিখা সম্বলিত সাংকেতিক চিহ্ন থেকে কি বোঝা যায়?
উত্তর: বডি ¯েপ্র এর গায়ে আগুনের শিখা সম্বলিত সাংকেতিক চিহ্ন থেকে বোঝা যায় এটি দাহ্য পদার্থ। সহজেই আগুন ধরতে পারে।
এ ধরনের দ্রব্য আগুন বা তাপ থেকে দুরে রাখা, ঘর্ষণ হতে পারে এমন অবস্থা এড়িয়ে রাখতে হবে।
০৪। অনুসন্ধান ও গবেষণা প্রক্রিয়ার সর্বশেষ ধাপটি বর্ণনা কর।
অনুসন্ধান ও গবেষণা প্রক্রিয়ার সর্বশেষ ধাপ: অনুসন্ধান ও গবেষণা প্রক্রিয়ায় প্রাপ্ত ফলাফল বিজ্ঞানের কোন মৌলিক বিষয়টির নতুন ব্যাখ্যা প্রদান করবে তা উল্লেখ করতে হয়। বিষয়বস্তুর নির্ধারণ মানুষের কোন কোন কল্যানে আসবে সুনির্দিষ্টভাবে তার দিক নির্দেশনা দেয়া হয়।
০৫। গণিত শাস্ত্রের উপর রসায়নের নির্ভরশীলতা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: গণিত শাস্ত্রের উপর রসায়নের নির্ভরশীলতা অত্যাধিক। রসায়নের হিসাব-নিকাশ, সূত্র প্রদান ও গানিতিক সম্পর্ক সব ক্ষেত্রেই গণিতের প্রয়োগ আবশ্যিক। তাছাড়া রসায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা কোয়ান্টাম মেকানিক্স, যেখানে মূলত গাণিতিক হিসাব-নিকাশের সাহায্যে পরমানুর গঠন ব্যাখ্যা করা হয়।
০৬। সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া: উদ্ভিদের পাতায় বিদ্যমান ক্লোরোফিল সূর্যালোকের উপস্থিতিতে কাবর্ন ডাই অক্সাইড ও পানিকে শ্বেতসারে পরিণত করে। উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ নামক জীব রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খাদ্য সঞ্চয় করে।
০৭। রাসায়নিক বস্তু অতিরিক্ত ব্যবহারের কুফল কী?
রাসায়নিক বস্তু অতিরিক্ত ব্যবহারের কুফল: রাসায়নিক বস্তু অতিরিক্ত ব্যবহারে জীব জগত ও পরিবেশের বিভিন্ন অংশে বিরূপ প্রভাব দেখা যায়। উদাহরণস্বরূপ: রাসায়নিক সারের অতিরিক্ত ব্যবহাওে গাছের ক্ষতি হয় বা গাছ মরে যায়। মাত্রাতিরিক্ত ঔষুধ সেবনে মানুষেরও মৃত্যু হতে পারে। অতিরিক্ত সার, কীটনাশক, সাবান, ডিটারজেন্ট, শ্যাম্পু প্রভৃতি মাটিকে এবং নদী-নালা ও খাল-বিলের পানিকে দূষিত করছে। অতিরিক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণে ভূমন্ডলীয় উষ্ণতা বৃদ্ধি পায়।
০৮। ১৯৯২ সালে জাতীসংঘের উদ্যোগে পরিবেশ ও উন্নয়ন নামে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় কী ছিল?
উত্তর: সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল:
ক) রাসায়নিক পদার্থকে ঝুঁকি ও ঝুঁকির মাত্রার ভিত্তিতে শ্রেণিকরণ।
খ) ঝুঁকির সতর্কতা সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত তৈরি করা এবং
গ) ঝুঁকি ও ঝুঁকির মাত্রা বুঝাবার জন্য সার্বজনীন সাংকেতিক চিহ্ন নির্ধারণ
করা।
০৯। লোহায় মরিচা কিভাবে সৃষ্টি হয়? বিশ্লেষণ কর।
উত্তর: লোহা শক্ত কিন্তু মরিচা ভঙ্গুর। বিশুদ্ধ লোহা বাতাসের জলীয় বাষ্প উপস্থিতিতে বায়ুর অক্সিজেনের সাথে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে। এতে লৌহ অক্সাইড নামক নতুন পদার্থের সৃষ্টি হয়। যা মরিচা নামে পরিচিত। মরিচার রাসায়নিক সংকেত: ঋব২ঙ৩.হঐ২ঙ
১০। প্রাকৃতিক গ্যাসকে দহন করলে কী সৃষ্টি হয়?
উত্তর: প্রাকৃতিক গ্যাস হলো কার্বন ও হাইড্রোজেনের সমন্বয়ে গঠিত জৈব যৌগ। এটি প্রকৃতপক্ষে কার্বন যৌগের দহন, যা এক ধরনের রাসায়নিক বিক্রিয়া। এর ফলে র্কান ডাই অক্সাইড, জলীয় বাষ্প ও তাপ উৎপন্ন হয়।
১১। মাটিতে খনিজ পদার্থ কীভাবে তৈরি হয়?
উত্তর: উদ্ভিদ ও প্রাণীর মৃতদেহ নানা অনুজীব প্রক্রিয়ার ফলে মাটির সাথে মিশে যায়। ভূ-গর্ভের বিশোধিত তাপ ও চাপের প্রভাবে মাটিতে মিশে যাওয়া পদার্থের আরোও রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে। ফলে বিভিন্ন খনিজ পদার্থ যেমন: পেট্রোলিয়াম, কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, ইত্যাদিতে পরিণত হয়।
১২। আকরিক থেকে কীভবে খনিজ পদার্থ নির্গত হয়?
আকরিক থেকে খনিজ পদার্থ নির্গত প্রক্রিয়া: প্রকৃতিতে ধাতু সমূহ প্রধাানত অক্সাইড ও সালফাইড আকরিক হিসেবে পাওয়া যায়। এসব আকরিক থেকে কার্বন বিজারণ, তাপজারণ, স্ববিজারণ, প্রভৃতি রাসায়নিক পদ্ধতি ব্যবহার করে ধাতুসমূহকে নিষ্কশন করে আহরণ করা হয়।
১৩। প্রাকৃতিক গ্যাস কাকে বলে? এর প্রধান উপাদান কী?
প্রাকৃতিক গ্যাস: ভূ-পৃষ্ঠের নিচে মিথেন থেকে বিউটন পর্যন্ত অ্যালকেন যৌগের যে মিশ্রণ পাওয়া যায় তাকে প্রাকৃতিক গ্যাস বলা হয়। প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান হলো মিথেন (ঈঐ৪) ৮০-৯০%, ইথেন ১৩%, প্রোপেন ১৩%, এবং নিম্ন স্ফুটনাঙ্ক বিশিষ্ট হাইড্রোকার্বনের বাষ্প মিশ্রিত থাকে।
১৪। শার্ট, প্যান্ট কিভাবে তৈরি করা হয়?
উত্তর: রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন জৈব যৌগ থেকে তৈরি কৃত্রিম বা প্রাকৃতিক তন্তু- এর সাথে রঞ্জকের সমন্বয়ে টেক্সটাইল ফেব্রিক্স শিল্পে শার্ট, প্যান্ট ইত্যাদি পোশাক তৈরি করা হয় ।
১৫। কার্বন মনোক্সাইডকে নীরব ঘাতক বলা হয় কেন?
উত্তর: অতি অল্প পরিমাণ বায়ুর উপস্থিতিতে কাঠ বা প্রাকৃতিক গ্যাস পোড়ালে কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন হয় যা নিঃশ্বাসের সঙ্গে প্রাণীদেহে নীড়বে ঢুকে শ্বাসকষ্টজনিত অসুখ এবং হৃদরোগ সৃষ্টি করে। এজন্যই কার্বন মনোক্সাইডকে নীরব ঘাতক বলা হয়।
এটি স্বাদ ও গন্ধহীন অদৃশ্যমান গ্যাস।
১৬। আমিষকে জৈব যৌগ বলা হয় কেন?
উত্তর: আমিষকে জৈব যৌগ বলার কারণ: কার্বন হাইড্রোজেন যুক্ত যৌগকে জৈব যৌগ বলা হয়। যেহেতু আমিষ সাধারণত কার্বন ও হাইড্রোজেনের সমন্বয়ে গঠিত, তাই আমিষকে জৈব যৌগ বলা হয়।
১৭। কাঠ জালানোর অর্থ ‘কার্বন যৌগের দহন’- ব্যাখ্যা কর।
কাঠ জালানোর অর্থ ‘কার্বন যৌগের দহন’- ব্যাখ্যা: কাঠ প্রধানত কার্বন দ্বারা গঠিত সেলুলোজের যৌগ। যখন কাঠে আগুন জালানো হয়, তা বাতাসের অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস, জলীয় বাষ্প, ও তাপ উৎপন্ন করে।
এটিকে বলা হয় যে, কাঠ জালানোর অর্থ ‘কার্বন যৌগের দহন’।
১৮। পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য তিনটি করণীয় বিষয় উল্লেখ কর।
পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য করণীয় তিনটি বিষয়:
১. বনভূমি বাড়াতে হবে।
২. কীটনাশকের বিকল্প; বালাইনাশক আবিষ্কার করতে হবে।
৩. জীবাশ্ম জালানির বিকল্প ও টেকসই জ্বালানি ব্যবহার করতে হবে।
১৯। বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহারের সময় কী কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হয় এবং কেন?
বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহারে সাবধানতাসমূহ:
১. সাবধানে নড়াচড়া করা। ঘর্ষণ হতে পারে এমন অবস্থা এড়িয়ে চলা।
২. বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য নির্জন ও স্থিত জায়গায় সংরক্ষণ করা।
৩. অন্য কিছুর সাথে মিশ্রণের সময় অল্প অল্প করে যোগ করা।
৪. ব্যবহারের সময় অবশ্যই চোখে চশমা ব্যবহার করা। সাবধানতা অবলম্বন করার কারণ: বিস্ফোরক দ্রব্যসমূহ সব সময় অস্থিত এবং নিজে নিজেই বিক্রিয়া করতে পারে। ফলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দূর্ঘটানা ঘটতে পারে।
২০। অনুসন্ধান ও গবেষণা প্রক্রিয়ার ধাপগুলো কী কী?
অনুসন্ধান ও গবেষণা প্রক্রিয়ার ধাপসমূহ:
১. বিষয় নির্ধারণ
২. বিষয় বস্তু সম্পর্কে সম্যক জ্ঞানার্জন
৩. কাজের পরিকল্পনা প্রণয়ন
৪. ফলাফল সম্পর্কে আগাম ধারণা করণ
৫. পরীক্ষণ ও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ
৬. তথ্য-উপাত্ত এর সংগঠন ও বিশ্লেষণ
৭. বিজ্ঞান ও মানব কল্যানে প্রভাব।
২১। তেজস্ক্রিয় রশ্মি চিহ্নটি থেকে কী বোঝা যায়?
উত্তর: তেজস্ক্রিয় রশ্মি চিহ্নটি দ্বারা অতিরিক্ত ক্ষতিকর আলোক রশ্মিকে (শক্তি) বুঝানো হয়। এ ধরনের রশ্মি মানবদেহকে বিকলাঙ্গ করে দিতে পারে এবং শরীরে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। এ ধরনের রশ্মি সম্বলিত কোন জিনিস নিয়ে কাজ করার সময় নিরাপদ দূরুত্ব বজায় রাখা, উপযুক্ত পোশাক পরিধান করা, চোখে বিশেষ ধরনের চশমা পরা ইত্যাদি সতর্কতা মেনে চলা উচিত।
তেজস্ক্রিয় রশ্মি চিহ্নটিকে ট্রিফয়েল বলা হয়।
২২। কোন পাত্রের গায়ে “বৃত্তের উপর আগুনের শিখা” সম্বলিত চিহ্ন থাকলে আমরা কি বুঝবো?
উত্তর: কোন পাত্রের গায়ে “বৃত্তের উপর আগুনের শিখা” সম্বলিত চিহ্ন থেকে বোঝা যায় যে, জারক গ্যাস বা তরল পদার্থ আছে। এটি নিঃশ্বাসে গেলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
সাবধানতা: ১. ব্যবহারের সময় হাতে দস্তানা, চোখে ও নাকে-মুখে মাস্ক পরিধান করা উচিত। ২. গ্যাস হলে নিচ্ছিদ্রভাবে রাখা। ৩. জারণ ক্রিয়া করতে না পারে এমন পাত্রে রাখা।
***
No comments:
Post a Comment